প্রকাশিত: ৩১/১০/২০১৮ ৯:০৬ পিএম
মিয়ানমারের রাখাইনে নির্মিত ঘরের ছবি পর্দশন করছে এক কর্মকর্তা

ডেস্ক রিপোর্ট ::

মিয়ানমারের রাখাইনে নির্মিত ঘরের ছবি পর্দশন করছে এক কর্মকর্তা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্দেশ্যে তৈরি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর মঙ্গলবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে রাখাইনে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রত্যাবাসন নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হতে পারে এবং প্রথম দফায় প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা রাখাইনে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা কক্সবাজারে বেশকিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে নেতাদের সাথে কথা বলেছেন; যার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল মিয়ানমার সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করা।

শরণার্থী ক্যাম্পের একজন রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নূর বিবিসিকে বলেন, “তারা আমাদের বুঝিয়েছেন যে প্রত্যাবাসন শুরু হলে এখানে (বাংলাদেশে) ট্রানজিট ক্যাম্পে কয়েকদিন থেকে মিয়ানমারের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।”

মি. নূর জানান, তাদেরকে বলা হয়েছে মিয়ানমারের অস্থায়ী ক্যাম্পে ৫ মাস থাকার পর তারা নিজেদের আদি বাসস্থানে ফিরে যেতে পারবেন এবং মিয়ানমারের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে রোহিঙ্গারা চায় সীমান্ত পার হওয়ার পরই যেন তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।

পাশাপাশি প্রত্যাবাসনের সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা রক্ষীদের উপস্থিতিও দাবি করছে তারা।
রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষ ফলাও করে প্রচারণা চালালেও আসলে পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

বিবিসি’র বার্মিজ বিভাগের সংবাদদাতা স ইয়ান নিয়াং রাখাইন অঞ্চলে তার সরেজমিন অনুসন্ধানের ভিত্তিতে জানান, প্রচারণা চালানো হলেও, আসলে অবস্থার খুব একটা উন্নয়ন হয়নি।

মি. নিয়াং বলেন, রাখাইন অঞ্চলে অবস্থার উন্নয়ন সম্পর্কে সরকার নানাবিধ দাবি করলেও মাঠ পর্যায়ে অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।

তিনি জানান, শরণার্থীরা মিয়ানমারে ফিরে আসার পর প্রাথমিকভাবে যেসব অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকবে সেখানে ৩০০ থেকে ৪০০’র বেশি ঘর নেই এবং সেখানে একসাথে খুব বেশি মানুষ থাকতে পারবে না; কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে সেসব অস্থায়ী আবাস একসাথে ৩০ হাজার মানুষ ধারণের ক্ষমতা রাখে।

আর সেসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, সরকারি কর্মকর্তা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির যেসব কার্যক্রমের কথা মিয়ানমার বলছে, তা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে কতটুকু ভূমিকা রাখবে, তা নিয়েও তিনি সন্দিহান।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ব্ল্যাকলিস্ট, তালিকায় এক ডজন দেশ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়া আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...